1. sm.khakon@gmail.com : bkantho :
জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকিস্তানী এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছে : লন্ডনে নাগরিক সম্বর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী - বাংলা কণ্ঠ নিউজ
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৩ অপরাহ্ন

জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকিস্তানী এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছে : লন্ডনে নাগরিক সম্বর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী

মতিয়ার চৌধুরী,লন্ডন
  • সোমবার, ৮ মে, ২০২৩
  • ১৪৮ বার পড়া হয়েছে
জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকিস্তানী এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছে : লন্ডনে নাগরিক সম্বর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন  জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকিস্তানী এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছে।  এমনটি বেরিয়ে এসেছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা অফিসার আসলাম বেগের  লেখা থেকে। আমলাম বেগ লিখেছেন জিয়া  পাকিস্তান বাহিনীকে সবসময় গোপন তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে, তার পরিবার ছিল নিরাপদ।

শুধু তাই নয় সে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথেও সংশ্লিষ্ট ছিল। সাংবাদিক এথরনি মাসকারেনহাসের সাথে দেয়া বঙ্গবন্ধুর খুনি রশিদ-ফারুকরা দম্ভ করে বলেছে জিয়া বলেছেন তুমরা এগিয়ে যাও। শুধু তাই নয় জিয়া সংবিধান  লংঘন করে জোর করে  ক্ষতায় আসে । জিয়াই দেশে ভোট-ডাকাতি ভোট চুরি করে।  হা—না ভোটের মাধ্যম । কেউ যায় নি ভোট দিতে তার পরে হা‘র বাক্সে ভোট পড়ে ।

১৯৭৫ পরবর্তিতে শত শত সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। প্রতি দিন সেনাব্যারাকে শত শত সেনা অফিসারকে ফাসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়, শুধু সেনা নিবাসেই নয় দেশের বিভিন্ন কারাগারেও হত্যা করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের। জিয়া প্রতিদিন দুইশ থেকে তিনশ ফাসির আদেশ দিত। যাদের হত্যা করা হয় তাদের লাশও পাওয়া যায়নি। শুধু জিয়াই ভোট চুরি করেনি এমনটি করেছে খালেদা জিয়াও।  তিনি বলেন আমাদের সময় দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ হয়েছে।

৭ মে লন্ডন সময় বিকেল চারটায়  সেন্ট্রেল লন্ডনের মেরিয়ট হোটেলের গজবারনার হাউজে দেয়া নাগরিক সম্বর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  দেড়ঘণ্টা ব্যাপী দেয়া  বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী তার সময়ে নেয়া বিভিন্ন উন্নয়নের ফিরিস্থি তুলে ধরেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত নাগরিক সম্বর্ধনায় শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওত করেন মাওলানা নজরুল ইসলাম, গীতা ও  ত্রিপিটক থেকে পাঠ করে হিমাংশু গোস্বামী ও মিরা বড়ুয়া।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন , খালেদা জিয়ার আমলে শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৮৪ জন ছিল, আমাদের আমলে সেটা ২১ জনে নেমে এসেছে। আমরা শিশু পুষ্টির হার বাড়িয়েছি। এখন দেশে শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। শিক্ষায় আমরা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছি। আমরা কারিগরি শিক্ষা সারাদেশে বাড়িয়েছি। দেশের মানুষ এখন ঘরে বসে উপার্জন করার সুযোগ পাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতিচারণ করে বলেন, ৭ মে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও আমার জন্য স্মরণীয় এবং রাজনৈতিকভাবে আলোচিত একটি দিন। ২০০৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেচিকিৎসা নিতে যাওয়ার পর আমাকে দেশে ফিরতে না দেওয়ার চেষ্টা চালায় সে সময়ের সেনা সমর্থিত সরকার। আমাকে বহন না করতে এয়ারলাইনসগুলোকে চাপ দেওয়া হয়েছিল। বৈধ টিকিট থাকার পরও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমান আমাকে দেশে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে আমি আজকের তারিখেই লন্ডন থেকে দেশে ফিরি।জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে  লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাগরিক সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখার সময় এ কথাগুলো বলেন।

৭ মে দুপুর ২টা থেকে সেন্ট্রাল লন্ডনের  গজবারনার হাউজে আমন্ত্রিত অতিথিরা আসতে শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে এবং এভাবে দেশকে ধ্বংস করেছে। জনগণ কীভাবে তাদের প্রতি আস্থা রাখবে।’শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ জেনে গেছে যে তারা চোর, দুর্নীতিবাজ, খুনি, গ্রেনেড হামলাকারী ও লুটেরা এবং তারা খুনিদের পৃষ্ঠপোষক।তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট অর্থ আত্মসাৎ করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানকে তার দুর্নীতির দায়ে সাজা দেওয়া হয়েছে এবং খালেদা জিয়ার ছোট কোকোর পাচারকৃত প্রায় ৪০ কোটি টাকা সরকার দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় আসেনি।‘আওয়ামী লীগ সব সময় দেশ ও দেশের মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করে; জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতা দখল বা চুরি করে ক্ষমতায় আসেনি।শেখ হাসিনা বিএনপি নেতাদের কাছে জানতে চান, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কয়টি দল অংশ নিয়েছিল এবং কতটি ভোট পড়েছিল।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আজকের তারিখে ২০০৭ সালে লাখো জনতা সেদিন আমাকে দেশে সাদর অভ্যর্থনা জানিয়েছিল।

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে মিছিল-শোভাযাত্রাসহ আমাকে ধানমণ্ডিতে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, সেই ঐতিহাসিক ৭ মে লন্ডন থেকে শতাধিক নেতাকর্মী বাংলাদেশে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনার সঙ্গে। তখন প্রবাসী নেতাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং দীর্ঘদিন কারাভোগ করে অনেকে লন্ডনে ফিরেন সেই বিশেষ দিনে নেত্রীকে সংবর্ধনা দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।

সামাজিক মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
Developer By Zorex Zira

Designed by: Sylhet Host BD