আন্দোলনরত শ্রমিক শহিদুল ইসলাম বলেন, কারখানায় স্থায়ী স্টাফদের পাঁচ মাসের এবং শ্রমিকদের সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। কর্তৃপক্ষ একাধিক তারিখ দিয়েও পাওনা পরিশোধ করেনি।বেতনের আশ্বাসে রোববার সকালে শ্রমিকরা কারখানায় গিয়ে কাজে যোগ দিলেও টাকা না পেয়ে দুপুরে তারা বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে তাদের ধর্মঘট কর্মসূচি।
কারখানার ইলেক্ট্রেশিয়ান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকরা আন্দোলনের শুরু করলেও পরে কারখানার স্থায়ী স্টাফরা তাতে একাত্মতা জানিয়েছেন। সোমবার সকালে আবারও অবস্থান ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
কারখানার জিএম (অপারেশন) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমাদের শ্রমিক ও স্টাফ মিলিয়ে কর্মী সংখ্যা ছয় হাজারের মত। প্রতিমাসে তাদের বেতনের জন্য সোয়া ৬ কোটি টাকা প্রয়োজন। কিন্তু অর্থসঙ্কটের কারণে আমরা কথামত দিতে পারছি না।
“তারপরও আমরা ২৪ অক্টোবর বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলাম। কিন্তু শ্রমিকরা তা না মেনে গতকাল বিক্ষোভ শুরু করে। তারা অফিস কক্ষের কাচ ভাংচুর করেছে। আজও কারখানা প্রাঙ্গণে ধর্মঘট করছে।”